বিদেশ ডেস্ক ॥ নতুন করে বিপাকে পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সিনেটের সদস্যরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন প্রক্রিয়া সাংবিধানিক। ফলে অভিশংসনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় আরও একবার অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ট্রাম্পকে। কিন্তু সেবার নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে কোনো রকমে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার হয়তো তাকে শাস্তির মুখোমুখিই হতে হচ্ছে। গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতার ঘটনায় ট্রাম্প তার সমর্থকদের উস্কে দিয়েছেন এমন অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন যে, এর পেছনে তার কোনো দায় নেই। এছাড়া ট্রাম্পের আইনজীবী দলও বলছে যে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায় না। তাদের দাবি, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটলে স্বপ্রণোদিত হয়ে হামলা চালিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমর্থকরা। কিন্তু পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে তার এই অভিশংসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হবে কীনা সে বিষয়ে একমত হয়েছেন সিনেটের সদস্যরা। এর পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৬টি এবং বিপক্ষে ৪৪টি। ফলে অভিশংসন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই চলবে। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ উসকে দেয়ার’ অভিযোগে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এই শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। ক্যাপিটল ভবনে ৬ জানুয়ারির সেই হামলার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন। হামলাকারীদের ভয়ে অফিসকক্ষে লুকিয়ে ছিলেন সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা। সিনেটের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জেমি রাসকিন বলেছেন, এটা বড় ধরনের অপরাধ। কিন্তু ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলছেন, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে এভাবে অভিশংসনের মুখোমুখি করা অসাংবিধানিক। ডেমোক্র্যাটরা রাজনৈতিক উদ্দেশে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। কিন্তু ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকানের বেশ কয়েকজন সদস্যও অভিশংসন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। কমপক্ষে ছয়জন রিপাবলিকান এর পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ভাগ্যে কী ঘটে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
Leave a Reply